পেনসিলভানিয়া, ১৭ অক্টোবর, ২০২৫ | ১ কার্তিক, ১৪৩২

সর্বশেষ:
‘আমরা তাওয়া গরম করছি’ আমি নিজেই পিআর বুঝি না: মির্জা ফখরুল তার ওপর হামলা ছিল ‘টেস্ট কেস’: নুর SS ডেলি এন্ড গ্রোসারি আপার ডার্বিতে বাংলাদেশিদের প্রতিষ্ঠান ফিলাডেলফিয়ায় অনুষ্ঠিত হতে যাচ্ছে ‘লোক উৎসব ২০২৫’: প্রবাসে বাঙালিয়ানার উজ্জ্বল প্রকাশ পেনসিলভেনিয়ায় আল-আকসা সুপারমার্কেটের উদ্বোধন ২৩ অক্টোবর ইলিয়াস কাঞ্চনকে নিয়ে ডিপজলের আবেগঘন পোস্ট ৫ কারণে দাম বাড়ছে স্বর্ণের পাঁচ শতাধিক মোটরসাইকেল নিয়ে এনসিপির লংমার্চ উপদেষ্টাদের ‘সেফ এক্সিটের’ পথ দেখালেন আখতার জামায়াতের সঙ্গে জোট বা সমঝোতা করবে না বিএনপি নারীদের জন্য তারেক রহমানের ৬ অঙ্গীকার এনসিপির কেন্দ্রীয় নেতাকে দল থেকে অব্যাহতি দেশপ্রেমিক সেনাবাহিনীকে নিয়ে জনগণ গর্বিত থাকতে চায়: জামায়াত আমির রাজধানীতে আ. লীগের ৭ নেতাকর্মী গ্রেফতার

রিজার্ভ-রেমিট্যান্স বাড়লেও কেন কমছে না ডলারের দাম

নিউজ ডেস্ক

প্রকাশিত: ০৬:৩০ এএম, ২৫ সেপ্টেম্বর, ২০২৫

বাজারে নেই ডলার সংকট, বেড়েছে রিজার্ভ-রেমিট্যান্সের প্রবাহ। আমদানিও করছেন ব্যবসায়ীরা। তবু কেন কমছে না দেশের বাজারে ডলারের দাম? আমদানিকারকরা বলছেন, টাকার বিপরীতে ডলারের দাম না কমায় বাড়তি খরচ হচ্ছে ভোক্তাদের। আমদানিনির্ভর একটি দেশের জন্য যা দীর্ঘমেয়াদে ক্ষতিকর। তবে রপ্তানিকারক আর ব্যাংকাররা দেখাচ্ছেন পাল্টা যুক্তি।

গত কয়েক বছর ধরে দেশের অর্থনীতিকে ভুগিয়েছে ডলার সংকট। অনেক আমদানি পণ্যের দামও বেড়ে যায় এজন্য। এসময়ে বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভও রেকর্ড পরিমাণ কমে যায়। একইসঙ্গে ব্যাংকগুলো ডলার সরবরাহে হিমশিম খাওয়ায় সীমাহীন জটিলতায় পড়েন আমদানিকারকরাও।

তবে ২০২৫-২৬ অর্থবছরের শুরুতেই ডলার সরবরাহে আসে নতুন গতি। প্রবাসী ও রপ্তানি আয়ে দেখা যায় রেকর্ড বৃদ্ধি। বৈদেশিক দায় শোধের পরও বাজারে ডলারের সরবরাহ অনেকটা স্বাভাবিক পর্যায়ে। এমনকি বাংলাদেশ ব্যাংক ডলার বিক্রি না করে উল্টো কিনছে। চলতি অর্থবছরে এখন পর্যন্ত প্রায় ১৭৫ কোটি ডলার কিনেছে বাংলাদেশ ব্যাংক।

তবে ডলারের প্রাপ্যতা বাড়লেও কমেনি দাম। এখনো ১২২ টাকার উপরে বিক্রি হচ্ছে ডলার। এতে বেশি দামে এলসি খুলতে হচ্ছে পণ্য আমদানিকারকদের। যার প্রভাব পড়ছে ভোক্তা পর্যায়ে। বাড়ছে পণ্যের দাম।

চট্টগ্রাম সিঅ্যান্ডএফ অ্যাসোসিয়েশন আমদানিকারক ও কার্যনির্বাহী সদস্য সরোয়ার আলম খান বলেন, ‘এখন কিন্তু পর্যাপ্ত ডলার রয়েছে। কিন্তু এখনো সেই আগের দামেই বিক্রি হচ্ছে ডলার। আমরা তো ভেবেছিলাম এইটা কমবে। কিন্তু কমে নাই সেটা আগের জায়গায় রয়ে গিয়েছে। যার ফলে ভোক্তাদের পণ্যের দাম কমার যে বিষয় সেটাতে সুফল পাচ্ছে না।’

ব্যবসায়ীরা বলছেন, আমদানিনির্ভর দেশের অর্থনীতিতে দীর্ঘদিন ডলারের দাম না কমলে ভোক্তাপর্যায়ে এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তাই ডলারের দাম কমানো যায় কি-না তা ভাবার পরামর্শ আমদানিকারকদের।

খাতুনগঞ্জ আড়তদার ব্যবসায়ি কল্যাণ সমিতির সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মো. মহিউদ্দিন বলেন, ‘এখানে সবকিছু ডলারের ওপর নির্ভরশীল। বিদেশ থেকে এত ডলার আসার পরেও কেন ডলারের দাম বাড়তেছে। সরকারের কাছে আহ্বান জানাবো যেন এইগুলোর দিকে নজর দেই।’

ব্যাংকাররা বলছেন, কেন্দ্রীয় ব্যাংকের বাজার তদারকি বাড়ালে ডলারের দাম কিছুটা কমতে পারে। এতে আমদানিও বাড়লেও, রেমিট্যান্স কমে হুন্ডি বেড়ে যাওয়ার শঙ্কা আছে বলছেন তারা।

খাতুনগঞ্জ ইসলামী ব্যাংকের ফরেন এক্সচেঞ্জ ইনচার্জ মো. আবু বকর সিদ্দীক বলেন, ‘ব্যাংকগুলো যদি ভালোভাবে আচারণ কর এবং মার্কেটে যদি স্বচ্ছতা রাখে তাহলে এইগুলো কমে আসবে।’

বাংলাদেশ ব্যাংকের হিসাবে, ২০২৪-২৫ অর্থবছরে দেশে ৬ হাজার ৮০০ কোটি মার্কিন ডলারের পণ্য আমদানি হয়েছে।

মন্তব্যঃ

দুঃখিত, কোন মন্তব্য পাওয়া যায়নি!

নতুন মন্তব্য করুন:

ad
সকল খবর জানতে ক্লিক করুন
ad